ব্লগ

আরাফার ময়দানে ইমাম হোসাইন (আঃ) এর বয়ান বা ভাসণঃ-

বিশেষ (বা নির্দিষ্ট) প্রশংসা সেই আল্লাহর, যার সিদ্ধান্ত দাফন করিবার কেহই নাই এবং তাঁর অসীম দানের জন্য নিষেধ দিবার কেহই নাই। শিল্পে তাঁহার শিল্পের মত কোন শিল্পকার নাই। তিনি বিশেষ সুবিস্তারিত দাতা। তিনি ভাঙ্গিয়া সৃষ্টি করেন বহু প্রকার মৌলিক আদি সৃষ্টি । এবং তাঁহার হেকমতের দ্বারা নিপুণ সৃজনকে সুসজ্জিত করিয়াছেন। অসীম উদয় তাঁহার উপরে গোপন থাকে না, এবং অসীম বিদায়কৃত (অর্থাৎ আমাদের ফেলে যাওয়া অতীত বিষয়) তাঁহার নিকটে হারাইয়া যায় না। প্রত্যেক রুপকারকে তিনি (তদনুরূপ) পুরষ্কৃত করিতেই থাকেন। প্রতিটি অল্পে তুষ্ট (ধৈর্যশীল) ব্যক্তির উপর তিনি সদয় মধ্যস্থতাকারী। এবং প্রত্যেক অনুগত বিনয়ীর প্রতি তিনি দয়াল। এবং নাজেল করেন কল্যাণ এবং সুস্পষ্টকারী নূরের দ্বারা পরিপূর্ণ কেতাব। এবং তিনি দোয়া (অর্থাৎ ডাকাডাকি) শ্রবণকারী এবং দুঃখ দাফনকারী এবং মর্যাদা সমুন্নতকারী এবং স্বেচ্ছাচারীর জন্য তিনি আঘাতকারী। সুতরাং তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ (অর্থাৎ উপাস্য) নাই। এবং তাঁহার সমান কোন বস্তু নাই। এবং তাঁহার সমতুল্য কিছু নাই।এবং তিনি বিশেষ শ্রোতা এবং বিশেষ দ্রষ্টা। তিনি বিশেষ সুক্ষ্ণ, বিশেষ জ্ঞাতা এবং সর্ব বস্তুর উপর তিনি তকদীর দাতা শক্তি
তোমার দিকেই ঝুঁকিতেছি এবং তোমার রবুবিয়াতের সাক্ষ্য দিতেছি।তোমার কারণেই স্থির বিশ্রাম। তোমা-দ্বারাই যে আমার রব। এবং তোমার দিকেই আমার প্রত্যাবর্তন।
উল্লেখযোগ্য একটি বস্তু হওয়ার পূর্বেই তোমার নেয়ামতের দ্বারা আমার প্রারম্ভ হইয়াছে। এবং তুমি আমাকে মাটি হইতে সৃষ্টি করিয়াছ।
তারপর আমাকে নিরাপত্তার সহিত(পিতাগণের)
ঔরশসমূহে পৃথক পৃথক ভাবে স্থান দিয়াছ অসীমকাল এবং বছরের নিরাপত্তার অনিশ্চয়তার জন্য। যুগ যুগের এক একটি প্রাচীনের মধ্যে আমি একজন ভ্রমণকারী, পিতার এক একটি ঔরস হইতে এক একটি মাতৃগর্ভের দিকে অনাদিকাল হইতে বাস করিয়া আসিয়াছি। অতীতের বিগত জমানাগুলিতে আমার সহিত অনুগ্রহ এবং আমার জন্য ভালোবাসার কারণে এবং আমার প্রতি তোমার সাহায্যের কারণে আমাকে খারেজ কর নাই কুফরীর ইমামগণের (অর্থাৎ চালকগণের ) রাজত্বের মধ্যে – যাহারা তোমার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করিয়াছে এবং তোমার রসূলগণকে অস্বীকার করিয়াছে। বরং তুমি আমাকে বাহির করিয়া আনিয়াছ তাঁহাদের জন্য যাহারা হেদায়েত দানে আমার অগ্রবর্তী। উহার জন্য (অর্থাৎ হেদায়েত দানের সেই দায়িত্ব পালনের জন্য) আমাকে সহজ করিয়াছ এবং উহাতে আমাকে (কর্তব্যে) উন্নিত করিয়াছ। এবং উহার পূর্ব হইতেই আমার সহিত তুমি কারিগরীপূর্ণ জামালী দয়া বিগলিত। আমাকে সৃষ্টি করা আরম্ভ করিয়াছ বেগবান বীর্য হইতে এবং অবস্থান দিয়াছ তিনটি অন্ধকারের মাঝেঃ মাংস, রক্ত এবং চর্ম ( অর্থাৎ দেহের মধ্যে )। আমার (দেহ) সৃষ্টিতে আমাকে সাক্ষী কর নাই এবং আমার (দৈহিক প্রবৃদ্ধির) বিষয়ভার আমার উপরে ন্যস্ত কর নাই। তারপর তুমি আমাকে বাহির করিয়াছ তাহাদের (ফেলে যাওয়া কর্তব্য পালনের) জন্য – যাহারা আমার অগ্রবর্তী হইয়া ( ইমাম হাসান, ইমাম আলী ও রসূলাল্লাহ) দুনিয়ার দিকে পরিপূর্ণ, নিখুঁত হেদায়েত দিয়াছিলেন। এবং আমাকে শিশু অবস্থায় দোলনার মধ্যে হেফাজত করিয়াছ। এবং আমাকে রেজেক দিয়াছ অসীম খাদ্য হইতে সহজপাচ্য এক একটি দুগ্ধ। এবং উদ্যমশীলগণের অন্তর আমার দিকে ঝুঁকাইয়াছ। এবং আমাকে বহু স্নেহশীলা মাতৃগণের নিরাপত্তা দান করিয়াছ। এবং আমাকে উদ্ধার করিয়াছ অসীম জিনদের সীমা হইতে (অর্থাৎ মনের অসীম জিনভাব হইতে আমাকে মুক্ত করিয়াছ)। এবং বৃদ্ধি ও লোকসান হইতে আমাকে দিয়াছ প্রশান্তি।
তাই তুমি সমুন্নত, হে রহিম, হে রহমান!
ক্রমশ যখন আমার মুখ ফুটিতে লাগিল, তুমি আমার উপরে তোমার নেয়ামতের প্রাচুর্যে কথার পূর্ণতা দান করিলে। এবং তুমি আমাকে প্রতি বছর ( অর্থাৎ প্রতি পরবর্তী বছরে) বর্ধিত পরিমাণে লালন ক্রিয়া সম্পাদন করিয়াছ।
পরিণামে আমার স্বভাব প্রকৃতিতে পরিপূর্ণতা দান করিয়াছ। এবং আমার শক্তি সামঞ্জস্যশীল করিয়াছ। তোমার মারেফতের (অর্থাৎ পরিচয়ের) এলহাম আমাকে দান করিয়া তোমার যুক্তি (বা প্রমাণ) আমার উপরে বলবৎ করিয়াছ। এবং তোমার আশ্চর্য হেকমতের জ্ঞান দান করিয়া আমাকে অসাধারন সৌন্দর্য দানে অভিভূত করিয়াছ। এবং তোমার আদি সৃষ্টি হইতে যাহা তুমি সৃষ্টি কর মনে এবং দেহে, তাহার জন্য তুমি আমাকে জাগাইয়া তুলিয়াছ। এবং তোমার শুকুর এবং সংযোগের জন্য (অর্থাৎ মানুষকে কৃতজ্ঞ বানাইয়া সংযোগে আনার জন্য) আমাকে বার্তাবাহক করিয়াছ। তুমি আমার উপর তোমার অনুসরণ এবং এবাদত ওয়াজেব করিয়াছ। এবং আমাকে জ্ঞাত করিয়াছ যাহাকিছু তোমার রসূলগণের সহিত আসিয়াছে। এবং তোমার মর্জি (বা সন্তোষ) গ্রহণ করা আমার জন্য সহজ করিয়াছ। এবং উহার সকল বিষয়ের মধ্যে তুমি আমার উপরে অনুগ্রহ করিয়াছ তোমার পৃষ্ঠপোষকতা ও ভালোবাসা দ্বারা। তারপর যখন তুমি আমাকে উত্তম বাছটটি হইতে সৃষ্টি করিয়াছ হে আমার ইলাহ, তখন তুমি সন্তুষ্ট হও নাই আমার জন্য একটি নেয়ামতও বাদ রাখিয়া অন্য নেয়ামত দান করিতে ( অর্থাৎ উচ্চতম মানুষের প্রাপ্তব্য প্রত্যেকটি নেয়ামত তাঁহাকে দান করা হইয়াছে)। বিভিন্ন রকমের জীবিকা নির্বাহের উপকরণ হইতে আমাকে রেজেক দিয়াছ এবং বহু রকমের ভূষণে সজ্জিত করিয়াছ – তোমার বিশেষ অনুগ্রহ দ্বারা আমার উপরে মর্যাদাওয়ালা অনুগ্রহের বিশিষ্ট মর্যাদা দান করিয়াছ। এবং আমার প্রতি তোমার সাহায্য অনাদি (বা প্রচীন)।
পরিশেষে যখন তুমি সমূহ নেয়ামত আমার উপরে পরিপূর্ণ করিয়া দিলে এবং আমা হইতে সর্বপ্রকার মন্দভাব বদলাইয়া দিলে
তখন আমার মূর্খতা এবং একগুয়েমী তোমার উপর বাধা সৃষ্টি করিতে পারে নাই – যাহা পথ দেখাইবে তোমার দিকে আমাকে নৈকট্য দান করিতে। এবং আমাকে সাহায্য করিয়া তোমার কাছে আগাইয়া দিতে। সুতরাং যদি তোমাকে ডাকি তুমি আমাকে জবাব দাও এবং যখন তোমার কাছে চাই তুমি আমাকে দান কর, এবং যখন তোমার এনায়াত করি (অর্থাৎ বিনা শর্তে নিজকে উৎসর্গ করি), তুমি কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর, এবং যদি তোমার কৃতজ্ঞতা স্বীকার করি তবে তুমি আমাকে বৃদ্ধি করিয়া দাও। ঐ সকলই আমার উপরে তোমার নেয়ামতের জন্য পরিপূর্ণতা দানকারী এবং আমার প্রতি তোমার সদয় সাহায্য। তাই পবিত্রতা তোমার – পবিত্রতা তোমার – আদিকৃত অবস্থা হইতে, পুনরাবৃত্তি হইতে, প্রসংশা হইতে, গৌরব হইতে, পবিত্রকারী তোমার নামসমূহ এবং আধ্যাত্মিক শক্তি দানকারী তোমার সুবিস্তৃত লা অবস্থা। সুতরাং হে আমার ইলাহ, তোমার কোন্ নেয়ামতের সংখ্যা আমি গণনা ও স্বরণ করিতে পারি? তোমার দানের কোন্ টির সহিত আমি কৃতজ্ঞতার সহিত দাঁড়াইতে পারি? এবং হে
আমার রব, এইগুলি হিসাবকারীর গণনা হইতে অত্যাধিক ; অথবা মুখস্তকারীর স্বরণ (সেই পর্যন্ত) পৌঁছিবার বাহিরে। অতঃপর হে আল্লাহ, দুঃখ এবং অসীম কষ্টের যাহা আমা হইতে সরাইয়া উচ্ছেদ করিয়াছ, তাহা সুখ স্বাচ্ছন্দের যাহা আমার জন্য প্রকাশ হয় উহা হইতে অধিক (গুরুত্ববহ বা মূল্যবান)
.এবং আমি সাক্ষ্য দিতেছি হে আমার ইলাহ, আমার ঈমানের হাকীকত দ্বারা এবং আমার সুদৃঢ় সংকল্পের একীন (বা আত্মপ্রত্যয় ), এবং আমার পরিশুদ্ধভাবে অভিব্যক্ত তৌহিদ, এবং আমার মনের (বা অন্তরের) সুরক্ষিত বাতেন, এবং আমার দৃষ্টির প্রবাহিত নূরের লাগিয়া থাকার স্থান সমূহ, এবং আমার কপালের (বা মস্তিস্কের সম্মুখ অংশের) এক পাশের ভাঁজগুলি, এবং আমার নফসের ( অর্থাৎ মনের ) মোহিত অবস্থার ( দ্বারা) খোলা পথ, ( অর্থাৎ আপন রবের প্রেম দ্বারা বিমোহিত হইয়া নফস বস্তুর কঠিন বেড়া ভাঙ্গিয়া জ্ঞানের যে পথ খুলিয়া নেয়), এবং আমার নাকের দ্রুত সঞ্চালিত নমণীয় কিন্তু শক্ত তরুনাস্থি এবং আমার শ্রুতির আঙ্গিনার শ্রুতি পথ, এবং আমার ঠোঁট যে শব্দ করে এবং উহার উপরে ঢাকনা দেয়, এবং আমার জিহ্ বার কথা-সঞ্চালন, এবং চিবানোর ভিত্তি ও আমার চোয়ালের গ্রন্থির মধ্যে এবং আমার চর্বন দন্তের গোড়াগুলি, এবং আমার পানাহার চলিবার পথ (অর্থাৎ খাদ্যনালী),এবং আমাকে নির্দেশ দানের আধার(অর্থাৎ মাথার খুলি), এবং আমার গলার প্রাণশিরার (বা ভিতরের) ছিদ্রপথ, এবং যাহা কিছু আমার বক্ষ-পিঞ্জর ধারণ করিয়া রাখিয়াছে, এবং আমার মহা ধমনীর ধারক সমূহ, এবং আমার হৃদপিণ্ডের পরদা সংযুক্তির স্থানগুলি, এবং আমার যকৃতের চারিপাশের মাংশপিণ্ড, এবং যাহা আমার পাজর ও পাজরের তরুনাস্থি সমূহকে ঘিরিয়া রাখিয়াছে, এবং আমার হাড় সংযোজনের গ্রন্থি-স্থল সমূহ, এবং আমার সাধারণ অঙ্গ সমূহের সংকোচন, এবং আমার আঙ্গুলের অগ্রভাগ, এবং আমার মাংশ এবং আমার রক্ত এবং আমার চুল এবং আমার চর্ম এবং আমার স্নায়ু এবং আমার শ্বাসনালী এবং আমার অস্থিসমূহ এবং আমার মস্তিষ্ক এবং আমার বুদ্ধিমত্তা এবং আমার দেহের অঙ্গ সমূহ, এবং যাহা কিছু ঐ সকলের উপর সৃষ্ট হইয়াছে (বা বৃদ্ধি পাইয়াছে) আমার স্তন্যপানের কাল সমূহে, এবং আমা হইতে দেহ যাহা কমাইয়া ফেলিয়াছে, এবং আমার ঘুম এবং আমার জাগরণ এবং আমার স্থিরতা এবং আমার কর্মতৎপরতা, আমার রুকু এবং আমার সেজদা, স্মৃতিপটের যে ভুল এবং (তৎসহ বা তৎজনীত) বিস্তৃত কর্মপ্রচেষ্টা (আমার জীবনের) যুগ এবং হুকুবা গুলিতে (ঘটিয়াছে)! যদি আমার জীবন বক্রতা গ্রহণ করে(তাহা হইলে ইহা বর্ধিত হইবে)
তবে তোমার একটি নেয়ামতের শুকরীয়া করা পর্যন্ত পৌঁছান সম্ভব নয়। ঐ সকলই তোমার বিশেষ অনুগ্রহ-পূর্ণ সাড়া ব্যতীত আমার উপর বর্তায় নাই, নব নব জীবন ক্ষেত্রে তোমার কৃতজ্ঞতা, এবং নব অর্জিত সঞ্চিত অসীম প্রসংশা সিদ্ধ হইল। (অর্থাৎ কৃতজ্ঞতা এবং প্রসংশা সুসিদ্ধ হইল বা প্রকৃত হইল, শুধু মৌখিক রহিল না )। এবং যদি আমি এবং তোমার সৃষ্ট জীবের মধ্যকার অসংখ্য গণনাকারীগণ তোমার (দেয়া) অতীত এবং ভবিষ্যতের নেয়ামতের সীমা গণনা করি তবে আমরা না উহার সংখ্যা হিসাব করিতে পারিব এবং না উহার সীমা নির্ধারণ করিতে পারিব। কখনও উহা সম্ভব নয়।এবং তুমি তোমার সবাক কেতাবের মধ্যে এবং সাদেকের খবরে ঘোষণা করিয়াছঃ ” এবং যদি তুমি আল্লাহর নেয়ামত গণনা কর ইহার সংখ্যা স্থির করিতে পারিবে
না “। হে আল্লাহ, তোমার কেতাব এবং তোমার বাণী সত্য বলিয়াছে, এবং তোমার নবী ও রসূলগণ পৌঁছাইয়া দিয়াছেন – যাহা তাহাদের উপর নাজেল করিয়াছে তোমার অহী হইতে এবং তাহাদের জন্য তোমার যে শরীয়ত ( বা জীবন বিধান) এবং তাহাদের সঙ্গে তোমার দ্বীন হইতে যাহা ( নাজেল করিয়াছ)।
কোথাও বাদ নাই হে আমার ইলাহ, আমি আমার জেহাদ দ্বারা সাক্ষ্য দিতেছি এবং আমার প্রচেষ্টা ও আনুগত্যের সীমা এবং আমার ধারণ ক্ষমতা দ্বারা। এবং একজন মমিন ও একীন-ওয়ালা ব্যক্তি হিসাবে বলিতেছিঃ ” বিশেষ প্রসংশা আল্লাহর জন্য যিনি গ্রহণ করেন না একটি সন্তান ” যাহাতে একজন উত্তরাধিকারী হইতে পারে। ” এবং তাঁহার রাজত্বে তাঁহার কোন অংশীদার নাই ” যে তাহার উদভাবনার(অর্থাৎ সৃষ্টির) প্রতিধ্বনী
(বা প্রতিরোধ) করিবে, ” এবং নাই কোন বন্ধু নিম্নমান হইতে ” ( ১৭ : ১১১), যাহাতে সে (অর্থাৎ নিম্নমানের কেহ) তাঁহার সৃজনী শিল্পে তাঁহাকে সাহায্য করিতে পারে – সুতরাং পবিত্রতা তাঁহার, পবিত্রতা তাঁহার।” যদি এই দুইয়ের মধ্যে (অর্থাৎ আকাশ ও পৃথিবীর মধ্যে তথা মন ও দেহের মধ্যে) আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ থাকিত – অবশ্য করিত ফাসাদ ” (২১ : ২২) এবং ছিন্ন ভিন্ন হইত। পবিত্রতা আল্লাহর – একমাত্র একক, নিরপেক্ষ, যিনি ” জাতক নহেন এবং জাতও নহেন এবং তাঁহার জন্য নাই কেহ সমগোত্রিয় আহাদ। ” (১১২ : ২-৪) বিশেষ প্রসংশা আল্লাহর জন্য – ( এই ) প্রসংশা বিচার করে তাঁহার নিকটবর্তী সকল ফেরেস্তাগণের দ্বারা এবং তাঁহার প্রেরিত নবীগণের আনিত সর্বকালীন বাণী দ্বারা। এবং আল্লাহর সালাত তাঁহার নির্বাচিত শেষ নবী মোহাম্মদের উপরে এবং তাঁহার পাক পবিত্র খাস বংশধরের উপরে, এবং ( সবার ) আত্মসমর্পন ( তাঁহাদের উপরে )।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button